নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল ও দলের পারফরম্যান্স

ভদ্র ক্রিকেটের মধ্যে এক জাতি ক্রিকেটার হলো নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

|ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা!

এই হিসাবে ক্রিকেটকে ভদ্র লোকের মানার অন্যতম কারণ, বা প্রমাণ করাদ ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড তার মুখ্য ভূমিকা পালণ করে থাকে। প্রত্যেক টা খেলোয়ার এমন নম্র-ভদ্র তা আপনি তাদের খেলা দেখলে তাদের মাঠের আচরণ দেখলে বুঝতে পারবেন। ক্রিকেট মাঠে নিজেদের সেরা খেলা উপহার দেয়ার পাশাপাশি, নিজেদের খেলোয়াড়দের একে অন্যকে সম্মান কিংবা৷ প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের সম্মান করার ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল দায়িত্ত ঠিক ভাবেই পালণ করে। নিউজিল্যান্ডের দেশটির ভদ্র সমাজের আওতায়। সুন্দরের বিশাল ভূমি দেশ হলো নিউজিল্যান্ড। 

নিউজিল্যান্ড দেশের পরিচিতি

(ইংরেজি: New Zealand, মাওরি: Aotearoa আওটেয়ারোয়া) দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। মানচিত্রে এটি মহাদেশীয় রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্বে ২০০০ কিলোমিটার দূরত্বে তাসমান সাগরে অবস্থিত।


নিউজিল্যান্ড দেশের জনসংখ্যা ও আয়তন

যা বলতেছিলাম, নিউজিল্যান্ড দেশের মানুষের গায়ের রঙ ফরসা ধবধবে সাদা। তেমনি তাদের চলাফেরা আচার-আচরণ ও সুন্দর ও ভালো।


 নিউজিল্যান্ড দেশের আয়তন ২ লাখ ৬৭ হাজার ৭১০ বর্গকিলোমিটার। এটি পৃথিবীর ৭৫তম বৃহৎ দেশ। বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী নিউজিল্যান্ডে বসবাস করে। ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ইউরোপ, এশিয়া, মিডলইস্ট ও আফ্রিকাসহ নানা দেশের বহু মানুষ এখানে এসে বসতি স্থাপন করে।
নিউজিল্যান্ডের জনসংখ্যা ৪০ লক্ষের ও বেশী। এ দেশের রাজধানীর নাম ওয়েলিংটন। এ দেশের শহর গুলো অনেক সুন্দর। ভ্রমণ করার মতো অনেক জায়গা রয়েছে। দেশের বৃহত্তম শহর অকল্যান্ড মনে করা হয় যে এখানে পৃথিবীর মধ্যে সর্বাধিক প্রত্যেক মানুষের মাথাপিছু নৌকার মালিকানা আছে মানে বলা যেতে পারে নৌকায় চড়ে উপভোগ করার মতো এখানেও সেই পেতে পারেন প্রাচীনকাল থেকেই নিউজিল্যান্ডের নিউজিল্যান্ড দেশ পরিচিতি বিজ্ঞানী চলচ্চিত্র পরিচালক এবং পর্বতারোহী বিশ্ব বিখ্যাত যেমন পৃথিবীর সর্বপ্রথম পরমাণু বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড এবং মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ী প্রথম মানুষ এডমন্ড হিলারি নিউজিল্যান্ডের নাগরিক ছিলেন এবং নিউজিল্যান্ডের পৃথিবীর প্রথম সাময়িক ভাবে থেমে যায় আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন অবস্থিত পৃথিবীর হিসেবে গণ্য করা হয় 38 ডিগ্রি পাওয়া যায়।

নিউজিল্যান্ড দলের ইতিহাস

নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে মাঠে লড়াই করার অনেক ভালো মানের খেলোয়ার ছিলো। যারা এই দলটাকে সমৃদ্ধি এনে দিয়েছে। সম্মান বয়ে এনেছে।
তার ফলে,

১৯৪৯ সালে সেরা একাদশ নিয়ে নিউজিল্যান্ড দল ইংল্যান্ড গমন করে। বার্ট  সাটক্লিফ, মার্টিন  ডানেলি, জন রিড ও জ্যাক কোয়ির ন্যায় তারকা খেলোয়াড় এ দলে ছিলেন। কিন্তু ৩ দিনের ঐ ৪ টেস্টের সিরিজ ড্রয়ে পরিণত হয়। ১৯৫১-৫২ মৌসুমে ওয়েস্ট  ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অংশ নেয়। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে ইংল্যান্ডের  বিপক্ষে সর্বমোট ২৬ রান করে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রান সংগ্রহ করে। পরের মৌসুমেই নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম টেস্ট জয় করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ৪ টেস্টের সিরিজটি ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় নিউজিল্যান্ড দল। প্রথম টেস্ট জয়লাভের জন্য দলকে ২৬ বছর ও ৪৫ টেস্টে অংশগ্রহণ করতে হয়। পরের বিশ বছরে দলটি মাত্র ৭ টেস্টে জয় পেয়েছিল। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অংশ নেয়। অধিকাংশ সময়ই নিউজিল্যান্ডের বিশ্বমানের কোন বোলার ছিল না। কিন্তু, গ্লেন টার্নার ও বার্ট সাটক্লিফের ন্যায় ব্যাটসম্যান এবং জন আর. রিডের ন্যায় চমৎকার অল রাউন্ডারের সন্ধান পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড দল।

১৯৭৩ সালে নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রিচার্ড হ্যাডলির। এরপর থেকেই নাটকীয়ভাবে নিউজিল্যান্ডের টেস্ট জয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তিনি তার সময়কালে সেরা পেস বোলার হিসেবে গণ্য হতেন। ৮৬ টেস্ট খেলে ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট  থেকে অবসর নেন। এই ৮৬ টেস্টের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের জয়ের পরিসংখ্যান ছিল ২২ জয় ও ২৮ পরাজয়। ১৯৭৭/৭৮ মৌসুমে ৪৮ বার প্রচেষ্টার পর প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের  বিপক্ষে জয় পায় তার দল। ঐ খেলায় তিনি ১০ উইকেটে লাভ করেছিলেন।


নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেট দলে লঘু

ইংরেজি: New Zealand cricket ) নিউজিল্যান্ডের পেশাদারী ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ক্রীড়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পূর্ব এ সংস্থাটি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড নামে পরিচিত ছিল। ক্রাইস্টচার্চে এর প্রধান সদর দফতর। ক্রিকেট খেলা নিউজিল্যান্ডের  সর্বাধিক জনপ্রিয় ও উচ্চ পর্যায়ের গ্রীষ্মকালীন খেলা হিসেবে পরিচিত। 


সাফল্য গাঁথা

নিউজিল্যান্ড দলটি ১৯৭৫ সালে World cup cricket competition প্রবর্তনের পর এ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তারা কমপক্ষে পাঁচবার সেমি-ফাইনাল পর্বে উত্তীর্ণ হয়। কিন্তু প্রত্যেকবারই পরাভূত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়। তাদের উল্লেখযোগ্য সফলতা হচ্ছে ২০০০ সালের  আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বিজয় করে। কেনিয়ার নাইরোবি জিমখানা ক্লাবে অনুষ্ঠিত খেলায় ভারতকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে তারা এ সাফল্য পায়। তাদের এই কীর্তি তাদেরকে ক্রিকেট পাড়ায় সুনাম বয়ে আনতে সাহায্য করেছে।

১৯৯৮ সালে মালেশিয়ায় কুয়ালামাপুরে  অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ  গেমসের ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল শ্রীলংকাকে ৫১ রানে হারিয়ে ব্রোঞ্জপদক  পেয়েছিলো।


অতিতের নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার

টম লড়ি, কার্লি পেজ,হ্যারি কেভ, জন রিড, জন রাইট,ইয়ান স্মিথ এর মতো সেরা প্লেয়াররা ছিলো নিউজিল্যান্ড দলে। তারা একেক জন সেরা ক্যাপ্টেন ও ছিলো।

ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপ

  • ১৯৮৫: চতুর্থ

অস্ট্রাল-এশিয়া কাপ

  • ১৯৮৬: সেমি-ফাইনাল
  • ১৯৯০: সেমি-ফাইনাল
  • ১৯৯৪: সেমি-ফাইনাল
নিউজিল্যান্ডের কীর্তি গাথা অনেক রেকর্ড আছে। পাওয়ার জায়গা ও অনেক নিউজিল্যান্ড দলের।

নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ভ্যানু 

পৃথিবীর মধ্যে সুন্দর দেশ যেমন নিউজিল্যান্ড। তেমনি পরিষ্কার পরিছন্ন ও নিউজিল্যান্ড। তার ফলে এই দেশের ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি মাঠগুলো ও সুন্দর। যেখানে বসে খেলা দেখলে কিংবা, বসে থাকলে সুন্দর উপভোগ্য মনে হবে।

অকল্যান্ডের ইডেন পার্ক নিউজিল্যান্ডের  সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ১৯০০ সালে এ স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু হয়। এর দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৫০ হাজার।

নিন্মে আরো মাঠের নাম দেয়া হলো ।

  • ইউনিভার্সিটি ওভাল ডুনেডিন
  • ওয়েলিংটন রিজিওন্যাল স্টেডিয়াম
  • বার্ট সাটিক্লিফ ওভাল
  • বেইলি পার্ক
  • ব্যাসিন রির্জাব
  • ম্যাকলিন পার্ক
  • সেডন পার্ক
  • স্যাক্সটন ওভাল 
  • হ্যাগলে ওভাল



নিউজিল্যান্ড দলের খেলোয়াড়দের সম্পর্কে জেনে নেই

  • কেন উইলিয়ামস 
  • টিম সাউথি
  • টম কাথাম
  • হেনিরি নিকোলাস
  • রোজ টেইলর
  • ড্যানিয়েল বেক্টরি
  • উইল ইয়াং
  • জেমি নিশান 
  • মারটিল গাবটিল
  • জেমিস নিশাম
  • লকি ফারগাশন
  • ব্যারেনডন ম্যাককলাম
  • লকি ফারগাশন
  • ইজ সাউথি
  • রোজ টেইলর
  • ফিলিন এলিন
  • বেলাইর টিকনার
  • মিচেল ব্রাচেল
  • রবিন্দ্রা
  • মিচেল সানটের
  • ট্রেন্ড বোল্ড
  • কলিং ডি গ্রান্ডহোম
  • ম্যাট হেনরি




Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url