অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল Australia Cricket team

এক কথায় ক্রিকেট বলতে অস্ট্রেলিয়া কে বুঝায় বলতে পারেন। ক্রিকেট শাষন করছে এমন ও দিন গেছে ক্রিকেটে টিম অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলে এমন অ খেলোয়াড় ছিলো যারা ইতিহাস লিখে গেছেন নিজেদের খেলার জাদুতে।

অস্ট্রেলিয়া দল মানে ক্রিকেটে এমন একটি দল যেখানে ক্রিকেট কে শাষন করছে এক সময় এটা বলতে পারেন।


অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Australia national cricket team)  অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দল হিসেবে পরিচিত। টেস্ট ক্রিকেটে  ইংল্যান্ডের  সাথে যুগ্মভাবে বিশ্বের প্রাচীনতম দল হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। ১৮৭৭ সালে দলটি সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয়। এছাড়াও, দলটি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি  আন্তর্জাতিক  ক্রিকেট খেলে থাকে। ১৯৭০-৭১ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবং ২০০৪-০৫ মৌসুমে নিউজিল্যান্ডের  বিরুদ্ধে টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে। উভয় খেলাতেই তারা জয়লাভ করে। শেফিল্ড শীল্ড, অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া একদিনের সিরিজ এবং বিগ ব্যাশ লীগ - ঘরোয়া প্রতিযোগিতা  থেকে খেলোয়াড়  সংগ্রহ করে থাকে। প্রত্যেক টা লীগ এমন ভাবে আয়োজন হয় যেনো ন্যাশনাল দলের খেলোয়ার তৈরি করার জন্য আয়োজন হয়। প্রত্যেক টা দলে ভালো মানের খেলোয়ার থাকে যারা দলের হয়ে সেরা টা দেয় এবং পরে ন্যাশনাল দলে সুযোগ পায়।

ইতিহাস

দলটি ১৮৭৭ সালে এমসিজিতে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টেস্ট ম্যাচে অংশগ্রহণ করে। এ খেলায় তারা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে ৪৫ রানে পরাজিত করেছিল। চালস ব্যানারম্যান ১৬৫ রান রিটায়ার্ড হার্ট হয়েছিলেন এবং টেস্টের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছিলেন। ঐ সময়ে টেস্ট ক্রিকেট শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। ভৌগোলিক দূরত্বজনিত কারণে সাগর পরিভ্রমণ করে খেলার জন্যে কয়েক মাস লেগে যেতো। তুলনামূলকভাবে স্বল্প জনসংখ্যা থাকা স্বত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলটি বেশ প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে খেলতো। জ্যাক ব্যাকহাম, বিলি মারডক, ফ্রেড  দ্যা ড্যামন,  স্পফোথ,জজ বোনর, পাসি ম্যাকডোনেল, জজ গিফেন , চার্লস 'দ্য টেরর' টার্নার প্রমূখ ক্রিকেটারগণ স্মরণীয় হয়ে আছেন। অধিকাংশ ক্রিকেটারই নিউ সাউথ ওয়েলস কিংবা ভিক্টরিয়ার পক্ষ হয়ে খেলেছেন। তন্মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন জজ গিফেন; তিনি সাউথ অস্ট্রেলিয়ার অল-রাউন্ডার ছিলেন।

দি অ্যাশেজ ও অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল ১৮৮২ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভ। ৪র্থ ইনিংসে ফ্রেড স্পোফোথের অবিস্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্যে ইংল্যান্ড মাত্র ৮৫ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায়ও পৌঁছুতে পারেনি। এতে স্পফোর্থ ৪৪ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট লাভ করেছিলেন। ফলে, ইংল্যান্ড তার নিজ ভূমিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সিরিজে ১–০ ব্যবধানে হেরে যায়। ফলে লন্ডনের প্রধান সংবাদপত্র দ্য স্পোর্টিং টাইমস্‌ তাদের প্রতিবেদনে ইংলিশ ক্রিকেট নিয়ে বিদ্রুপাত্মকভাবে বিখ্যাত উক্তি মুদ্রিত করে:

ইংলিশ ক্রিকেটকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে ওভালের ২৯ আগস্ট, ১৮৮২ তারিখটি। গভীর দুঃখের সাথে বন্ধুরা তা মেনে নিয়েছে। ইংলিশ ক্রিকেটকে ভস্মিভূত করা হয়েছে এবং ছাইগুলো অস্ট্রেলিয়াকে প্রদান করেছে।

এভাবেই বিখ্যাত অ্যাশেজ সিরিজের সূত্রপাত ঘটে যাতে কেবলমাত্র অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট সিরিজই অন্তর্ভুক্ত থাকে। যারা সিরিজ জয় করে তারা আ্যসেজ ট্রফি লাভ করে। দুই দলের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ নিয়ে গঠিত এ প্রতিযোগিতাটি অদ্যাবধি ক্রীড়া বিশ্বে ব্যাপক আগ্রহ-কৌতূহলের সৃষ্টি করে।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স


২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নসট্রফি প্রতিযোগিতায়  অংশগ্রহণের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার  আ্যসেজ সিরিজ সফর শুরু হয়েছিল। এ গ্রুপে দলটির সাথে ছিল ইংল্যান্ড , নিউজিল্যান্ডে  এবং শ্রীলঙ্কা । কিন্তু দলটি ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার কাছে পরাভূত হয় এবং নিউজিল্যান্ডের সাথে বৃষ্টিবিঘ্নিত  খেলায় পরিত্যক্ত হওয়ায় এক পয়েন্ট অর্জন করে। এরফলে অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ-এ’র সর্বনিম্ন স্থানে অবস্থান করে ও প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নেয়।

বিশ্বকাপ ক্রিকেট

অস্ট্রেলিয়া সাতবার World cup cricket এর  ফাইনালে অংশগ্রহণ করে পাঁচবার World cup trophy লাভ করে। একমাত্র দল হিসেবে তারা 1999, 2003 এবং 2007 সালে ধারাবাহিকভাবে ৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এছাড়াও ১৯ মার্চ, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত World cup ক্রিকেটের  খেলার পূর্ব পর্যন্ত দলটি একাধারে ৩৪টি খেলায় অপরাজিত ছিল। এদিন তারা পাকিস্তানের  কাছে ৪ উইকেটে  পরাজিত হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া দলের লিজেন্ড কিংবদন্তি 

অস্ট্রেলিয়া দলের এখনকার খেলোয়াড় 

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মাঠ
অস্ট্রেলিয়া দলের দায়িত্তে বোড
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের 

দলের জার্সি

অস্ট্রেলিয়ার প্রধান এয়ারলাইন্স কোয়ান্টাস জাতীয় দলের জার্সি স্পনসর।

কমনওয়েলথ গেমস ও অস্ট্রেলিয়া খেলোয়ার

কমনওয়েলথ গেমস রেকর্ড
বছররাউন্ডঅবস্থানখেলার সংখ্যাজয়পরাজয়টাইফলাফল হয়নি
মালয়েশিয়া ১৯৯৮রানার্স-আপ২/১৬
সর্বমোট-১/১

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url