বাংলাদেশ ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম কতটি নাম কি ও কোথায় অবস্থিত

        (ক্রিকেট ভাস্কর্য) 

বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাস থেকে এ যাবৎ কালের অবস্থায় ক্রিকেট সমৃদ্ধ। ক্রিকেট পাড়া নিয়ে বড্ড হৈচৈ লক্ষ্য করা যায় এখন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে। ক্রিকেট ধ্যান-ঘ্যান এ রুপান্তরিত হয়ে গেছে বলা চায়। ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকতে চায় বাংলাদেশের মানুষ। যখন খেলা গড়ায় মাঠে তখন টিভি সেটের সামনে, মোবাইলের সামনে বসে থাকার পাশাপাশি স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সাথে গলার সুর উচ্চস্বর করে বাংলাদেশ বাংলাদেশ বলে উৎফুল্ল হয়ে খেলা দেখতে আগ্রহী এখন এ দেশের মানুষ। বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেট এখন আবেগ ও ভালোবাসা।

  • শের ই বাংলা স্টেডিয়াম, ঢাকা মিরপুর
  • জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্রগ্রাম 
  • সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সিলেট
বাংলাদেশের মাঠিতে কোনো ক্রিকেট খেলা হলে, কোনো ক্রিকেট দেশ সফরে আসলে মূলত এই মাঠ গুলাই ব্যস্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ফ্রাঞ্জাইজি লীগ বিপিএল খেলা ও এ সমস্ত মাঠে গড়ায়।

শের ই বাংলা স্টেডিয়াম, ঢাকা মিরপুর



বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রানকেন্দ্র, এই মিরপুরে অবস্থিত স্টেডিয়াম। 
শের-ই- বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত।স্টেডিয়ামটি মিরপুরের 6 নং সেক্টরে অবস্থিত। এটি বর্তমানে  ক্রিকেট মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। স্টেডিয়াম এটি মূলত 2006 সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়া এই স্টেডিয়ামে সরাসরি ক্রিকেট প্রেমী দর্শকরা অত্যন্ত আকর্ষণীয় পরিবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্রিকেট খেলা তথা আন্তর্জাতিক ম্যাচ গুলো উপভোগ করতে পারে।
এটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। এই মাঠে প্রায় 26000  দর্শকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।শুরুতে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছিল মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে স্টেডিয়ামটির নাম রাখা হয় শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম।এই মাঠে টি২০, ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ আয়োজিত হয়। এ ছাড়াও ১ম শ্রেনীর ম্যাচ ও বিপিএল খেলা মাঠে গড়ায়।

তাছাড়া 2011 সালে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অন্যতম ভেন্যু হিসেবে খেলা অনুষ্ঠিত হয়।এই মাঠে বিগত খেলাগুলো বিশ্লেষণ করে পরিসংখ্যান মতে বোলিং বান্ধব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এক্ষেত্রে এই মাঠে বিপিএল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং ম্যাচ অনুষ্টিত হয়। এই মাঠে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুদিনের অনেক ইতিহাস রচনা আছে।


জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম, চট্রগ্রাম



জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম আইসিসি অনুমোদিত টেস্ট প্লেয়িং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ সমূহের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি মাঠ। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম নামের হিসাবে পরিচিত ছিল। জহুর আহম্মেদ স্টেডিয়ামটি 2006 সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করে থাকে।

বাংলাদেশের এই স্টেডিয়ামটি 2004 সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব 19 বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্টিত হওয়ার দায়িত্ত পেয়েছিলো ।মূলত ওই বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে  মাঠটি পরিপূর্ণভাবে সংস্করণ করে তৈরি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সাগরিকায়  মাঠটি অবস্থিত।

2011 সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য যে, এই মাঠের পাশেই রয়েছে পৃথিবীর সেরা বিখ্যাত অন্যতম সমুদ্র সৈকত। পতেজ্ঞা সী বীচ। এছাড়া এই মাঠে প্রায় 22000 দর্শক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে।উল্লেখিত এই মাঠে বিপিএলের বেশকিছু ম্যাচ খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

এছাড়া বাংলাদেশের বাণিজ্যিক প্রবেশদ্বার বলা হয়ে থাকে চট্টগ্রামকে। উল্লেখযোগ্যভাবে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত চট্টগ্রামে অবস্থিত।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে সকল প্রকার ব্যবসায়ী কার্যকলাপের বিক্রিতে ভিত্তিতে অধিকাংশ কাঁচামাল আমদানি রপ্তানি করা হয়ে থাকে বিভিন্ন জাহাজের মাধ্যমে সমুদ্রপথে। তারই প্রধান অংশ গড়ে উঠেছে চট্টগ্রাম বন্দরনগরীতে। যার ফলে, অত্যন্ত জনপ্রিয় আকর্ষণীয় একটি স্টেডিয়াম মাঠ তা হচ্ছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম মাঠ।



সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম সিলেট




সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাংলাদের অন্যতম সেরা একটি স্টেডিয়ামে রুপান্তরিত হয়েছে। যেখানে আন্তর্জাতিক থেকে শুরু করে বিপিএল মতো লীগের আসর জমে। এখানে স্কোর অনেক ভালো হয়। খেলা জম্মেশ জমে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে সিলেটের একটি বহুমুখী স্টেডিয়াম। এছাড়া এই মাঠের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে বিভিন্ন সৌন্দর্যের নয়ন বিরাম পাহাড়গুলি এবং সবুজ চা পাতার বেষ্টনী দিয়ে এতটাই সৌন্দর্য প্রকাশ করে থাকে যা সত্যিকার অর্থে অত্যন্ত আনন্দদায়ক পরিবেশ। সিলেটের মানুষ মাঠিতে বসে খেলা উপভোগ করতে পারে।

স্টেডিয়ামটি  আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কিছুটা দূরত্বে অবস্থিত।সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম 2007 সালে স্থাপিত হয়েছে।উল্লেখিত মাঠ সচরাচর ক্রিকেট খেলার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং সেইসাথে এখানে ফুটবল খেলাও অনুষ্ঠিত হয়।উল্লেখ্য যে, 615 ফুট দৈর্ঘ্য এবং 485 ফুট প্রস্থ নিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বড় একটি ক্রিকেট মাঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

এছাড়া 2014 সালে টি 20 বিশ্বকাপের মাঠে হিসাবে স্টেডিয়ামকে নির্বাচিত করে থাকেন বিসিবি।এছাড়া এই মাঠে ইংল্যান্ড লায়ন এর সঙ্গে বাংলাদেশ এ দল এবং ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব 19 দলের সঙ্গে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব 19 দলের বিভিন্ন খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এছাড়া নারী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এবং জাতীয় লিগের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিভাগীয় এই মাঠে।

উল্লেখিত এই মাঠে দর্শক ধারন ক্ষমতা প্রায় 18500।এই মাঠের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে, বিভিন্ন চা-বাগানের সবুজ নয়ন বিরাম দৃশ্য দেখে ক্রিকেটপ্রেমী অনুরাগীরা সত্যিকার অর্থে এতটাই মুগ্ধ হয়ে থাকে, যা অন্যান্য স্টেডিয়ামের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি।এই  মাঠেও  বিপিএল টুর্নামেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ খেলা অনুষ্ঠিত হয়।


উপড়ে উল্লেখিত স্টেডিয়াম গুলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের নগরী, প্রাণকেন্দ্র। যেখানে মেতে উঠে হাজারো প্রানের জোয়ার, যেখান থেকে রচনা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক রকম ইতিহাস।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url