England Cricket
England cricket আপাতত ক্রিকেটে তাগ লাগিয়ে দিয়েছে। ওডিয়াই, টি২০ তে ইংল্যান্ড দল World কাপ নিয়েছে। যদিও কথিত আছে, ইংল্যান্ড থেকেই ক্রিকেট আবিষ্কার হয়েছে, অতচ কোনো কাপে তারা চ্যাম্পিয়ন হয় নাই। তবে, এখন ইংল্যান্ড দল চ্যাম্পিয়ন তাও দুই সারির ক্রিকেট ঘিরেই।
ইংল্যান্ড দল ভদ্রতার কাতারে। প্রত্যেক টা খেলোয়ার নিজেদের প্রমাণ করেছে নিজেদের খেলা দিয়ে তারপর নিজেদের ব্যবহার দিয়ে। ক্রিকেট জগৎে ইংল্যান্ড দেশ এখন সবার সম্মানের যোগ্য।
England দলের দায়িত্তে
ইংল্যান্ড দলের খেলোয়ার
- Jos Buttler |Captain and Wicket Keeper|
- Moien Ali
- Chris Wokes
- Tom Abell
- Rahan Ahmed
- Sam curran
- Phil Salt
- Adil Rashid
- Mark Wood
- Reece Topley,
- Saqib Mahmud
- Jason Roy
- Dawdid Malan
- Tames vince
দলিলপত্রাদি ঘেঁটে দেখা যায় যে, প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড নামধারী দলটি ৯ জুলাই, ১৭৩৯ সালে অল-ইংল্যান্ড দল হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছিল। অপরাজেয় কাউন্টি হিসেবে পরিচিত কেন্টের প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডের অন্যান্য এলাকা থেকে ১১জন বিশিষ্ট ভদ্রলোক খেলেছিলেন। অবশ্য তারা কেন্টের কাছে খুবই অল্প ব্যবধানে হেরে যায়। পরবর্তীতে এ ধরনের আরো অসংখ্য ক্রিকেট খেলার পুণরাবৃত্তি ঘটেছিল যা ঐ শতকের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
সেপ্টেম্বর, ১৮৫৯ সালে ইংল্যান্ড প্রথমবারের মতো বহির্বিশ্ব ভ্রমণে যায়। ঐ সফরের অংশ হিসেবে দলটি উত্তর আমেরিকা ভ্রমণে গিয়েছিল। দলের ৬ সদস্য ছিলেন অল-ইংল্যান্ড একাদশের এবং বাকি ৬ সদস্য ঐক্যবদ্ধ অল-ইংল্যান্ড একাদশের। দলের নেতৃত্ব দেন জর্জ পার নাম্নী এক ইংরেজ।
ইংল্যান্ড ১৮৮২ সালে নিজ ভূমিতে অনুষ্ঠিত প্রথম সিরিজে ১-০ ব্যবধানে হেরে যায়। ফলে ‘দ্য স্পোর্টিং টাইমস্’ তাদের প্রতিবেদনে ইংলিশ ক্রিকেট নিয়ে বিখ্যাত উক্তি মুদ্রিত করে:
আন্তঃযুদ্ধের পর ইংল্যান্ড ১৯২০-২১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামে। যুদ্ধ পরবর্তী পরিবেশে অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় প্রবলভাবে আক্রান্ত ইংল্যান্ড সিরিজে পরাজয়ের মুখ দেখতে থাকে। এবং প্রথমবারের মতো ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়। সিরিজে ৬ জন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান শতক হাঁকান এবং মেইলে একাই ৩৬জন ইংরেজ ব্যাটসম্যানকে আউট করেন। পরবর্তী সিরিজগুলোতেও তারা তেমন ভালো ফলাফল বয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছিল। ১৯২১ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ৩-০ এবং ১৯২৪-২৫ সালের অ্যাশেজে ৪-১ ব্যবধানে পরাজিত হয় ইংল্যান্ডের ক্রিকেট দল। ১৯২৬ সালে ইংল্যান্ডের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটে ও অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করে এবং ১৯২৮-২৯ সালের অ্যাশেজ সফরে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারায়।
ইংল্যান্ড কঠিন সময় পার করে ২য় World war পরবর্তী সময়কালে। তারা ৩-০ ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয়। পরবর্তীতে স্যার ডোনল্ড ব্যাডম্যানের অবিশ্বাস্য কীর্তিতে ৪-০ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২-০ ব্যবধানে হারে। উপর্যুপরি পরাজয়ের পর দলটি ভারত এবং দক্ষিন দক্ষিন আফ্রিকার জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে জয়ী হয়ে ক্ষতস্থানে প্রলেপ দেয়।
ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল পরবর্তীতে ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল এবং উদীয়মান ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে হেরে যায়। ১৯৭৪-৭৫ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে পরাজিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১ম World cup ক্রিকেটের দলটি সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে যা ইংল্যান্ডের ভাগ্যাকাশে কিছুটা পরিবর্তনের ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। ক্যারি প্যাকারের বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট আয়োজনের প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান ক্রিকেট দল - উভয়ই তাদের তারকা খেলোয়াড়দেরকে হারায়। ইংল্যান্ড টেস্ট ক্রিকেট থেকে বহিস্কৃত টনি গ্রেগ (সাবেক ধারাভাষ্যকার), মাইজ ব্রিয়ারলি, জিওফে বয়কটক্কে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত করে।
কোচ হিসেবে ডানকান ফ্লেচার এবং অধিনায়ক হিসেবে নাসের হোসেনকে নিযুক্ত করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলকে পুনরায় নতুন করে গঠন করা হয়। দলটি ধারাবাহিকভাবে চারটি টেস্ট সিরিজ জয় করে। তন্মধ্যে ৩১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় ছিল অন্যতম। এছাড়াও তারা পাকিস্তানকেও সিরিজ পরাজয় বরণে বাধ্য করে। ২০০১ সালে স্টিভ ওয়াহর নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে যায়। ভারত এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভাল ফলাফল অর্জন করলেও ২০০২-০৩ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে পুনরায় ৪-১ ব্যবধানে সিরিজে হেরে অস্ট্রেলিয়া ভীতি দূর করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু হাল ছেড়ে না দিয়ে ইংল্যান্ড দল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে ও নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে হোয়াইট ওয়াশ করে। পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্ট খেলায় দক্ষিন আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দলের বিপক্ষে জয়লাভ ছিল ধারাবাহিকভাবে অষ্টম টেস্ট জয় যা ইংল্যান্ডের ৭৫ বছরের মধ্যে প্রথম ধারাবাহিক সাফল্য।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল শক্তিশালী দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। ক্রিকেটের ইতিহাসে তাদের ফিল্ডিংও দর্শনীয়। ৭ ডিসেম্বর, ২০১২ সাল পর্যন্ত দলটি ৯২৯টি টেস্ট ম্যাচে খেলে। তন্মধ্যে দলীয় পরিসংখ্যান হচ্ছে ৩৩১ জয় (৩৫.৬৩%), ড্র ৩৩০ (৩৫.৫২%) এবং পরাজয় ২৬৮ (২৮.৮৫%)। ২৮ আগস্ট, ২০১১ পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ৬৫০জন খেলোয়ার অংশগ্রহণ করেন।
২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে World ক্রিকেটের সুপার এইট পর্যায়ে অংশগ্রহণের পূর্বে ইংল্যান্ড ৪৬৪টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় অংশ নেয়। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইংল্যান্ডের জয় ২২৪ (৪৮.২৮%), টাই ৪ (০.৮৬%), ফলাফল হয়নি ১৫টি (৩.২৩%) এবং পরাজয় ২২১টি (৪৭.৬৩%)। ২৮ আগস্ট, ২০১১ তারিখ পর্যন্ত ২২২ জন খেলোয়াড় ওয়ানডে ক্রিকেটে খেলায় অংশ নিয়েছেন।
- প্রধান কোচ: ট্রেভর বেলিস
- ব্যাটিং কোচ: মারক রামপ্রকাশ
- বোলিং কোচ: অটিস গিবসন
- ফিল্ডিং কোচ: ক্রিস টেলর
- সীমিত ওভারের পরামর্শক: পল কলিং উড
- সহকারী কোচ: পল ফারবেস
টেস্ট ব্যাটিং
- সর্বাধিক রান: ৮,৯০০ – গ্রাহাম গুচ
- সেরা গড়: ৬০.৭৩ – হাবাট সাটক্লিফ
- সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান: ৩৬৪ – লেন হাটন বনাম অস্টেলিয়া, ওভাল, ১৯৩৮
- সর্বোচ্চ রানের জুটি: ৪১১ – কলিন কাউড্রে ও পিটার মে বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ , বারমিংহাম, ১৯৫৭
- সর্বাধিক সেঞ্চুরি: ২৫ – আ্যলেস্টার কুক
- সেরা উদ্বোধনী জুটি: জ্যাক হবস ও হার্বার্ট সাটক্লিফ। ৩৮ ইনিংসে তারা ৮৭.৮১ রান গড়ে ১৫টি শতরানের জুটি এবং ১০টি অর্ধ-শতক বা ততোধিক রান করেছিলেন।
- সর্বাধিক শূন্য রান: ২০ – মাইকেল আ্যথারটন, স্টিভ হামিসন ও মন্টি পানেসর
টেস্ট বোলিং
- সরবাধিক উইকেট: ৩৮৩ – ইয়ান বোথান
- সেরা গড়: ১০.৭৫ – জজ লোহাম
- ইনিংসে সেরা বোলিং: ১০/৫৩ – জিম লেকার ব অস্ট্রেলিয়া, ম্যানচেস্টার, ১৯৫৬
- খেলায় সেরা বোলিং: ১৯/৯০ – জিম লেকার ব অস্ট্রেলিয়া, ম্যানচেস্টার, ১৯৫৬
- সেরা স্ট্রাইক রেট: ৩৪.১ – জজ লোহম্যান
- সেরা ওভারপ্রতি রান: ১.৩১ – উইলিয়াম আ্যটওয়েল
পাঁচজন বোলার এক ওভারে চার উইকেট লাভ করেছেন। তন্মধ্যে তিনটিই হয়েছে হেডিংলিতে। অদ্যাবধি একমাত্র বোলাররূপে স্টুয়াট ব্রড ভারতের বিরুদ্ধে হ্যাট্রিক করেছেন।