শাহিনশাহ আফ্রিদির ক্রিকেট ক্যারিয়ার ও বৈবাহিক অবস্থা
শাহিনশা আফ্রিদি একজন মূলত ক্রিকেটার। শাহিনশাহ আফ্রিদি পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলে থাকেন। উজ্জ্বল তারকা হিসাবে পাকিস্তানের ক্রিকেট পাড়ার সুনাম বয়ে আনছে। যেকোনো দেশের তারকা ক্রিকেটাররা শাহিনশা আফ্রিদির করা গতির বলকে খাপ খাইয়ে নিতে হিমশিম খায়।
২০২২/২০২৩ সালে হয়ে যাওয়া টি২০ World cup পাকিস্তানের ম্যাচগুলোর দিকে চোখ রাখলে আপনি অবশ্যই বুঝে গেছেন কে এই শাহিনশাহ আফ্রিদি। কি গুণ। ৬ ফুট উচ্চতার এই খেলোয়ারটি নিজের দিনে অন্য যেকোনো দলের বিপক্ষে জ্বলে উঠলে কতোটা ভয়ংকর হতে পারে তা দেখিয়ে দিতে পারে শাহিনশাহ আফ্রিদি। শাহিন শাহ আফ্রিদি একজন পাকিস্তানের সেরা তারকা ফাস্ট বোলার।
শাহিনশাহ আফ্রিদির জন্মসাল
৬ এপ্রিল ২০০০ সালে পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করে শাহিনশআহ আফ্রিদি।
শাহীন আফ্রিদি পশতু উপজাতির জাখাখেল আফ্রিদি গোত্রের পরিচয় বহন করছেন। খাইবার জেলার ল্যান্ডি কোটালে সীমান্তবর্তী এলাকায় শৈশবকাল অতিবাহিত করেন। সাত ভাইয়ের মধ্যে তার অবস্থান সর্বকনিষ্ঠ। ১৫ বছরের বড় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রিয়াজ আফ্রিদি ২০০৪ সালে পাকিস্তানের পক্ষে প্রথম টেস্ট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। টাটারা পাহাড়ের নাম অনুসরণে ল্যান্ডি কোটালে প্রতিষ্ঠিত টাটারা গ্রাউন্ডে খেলোয়াড়ী জীবন শুরুর করেন।
২০১৫ সালে এফএটিএ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের যাচাই-বাছাইয়ে রিয়াজ আফ্রিদি প্রথমবারের মতো শক্ত ক্রিকেট বল হাতে তুলে দেন। এরপূর্বে তিনি কেবলমাত্র টেনিস-বল ক্রিকেট খেলতেন। এ পর্যায়ে সফলতা লাভের ফলে নভেম্বর, ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের সদস্যরূপে অস্ট্রেলিয়া গমনের জন্যে মনোনীত হন। তার সংগৃহীত চার উইকেট লাভের ফলে একদিনের খেলায় ও টুয়েন্টি২০ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায়।
শাহিনশাহ আফ্রিদির আন্তর্জাতিক অভিষেক টি২০তে
শাহিনশাহ আফ্রিদির আন্তর্জাতিক অভিষেক ওডিয়াইতে
শাহিনশাহ আফ্রিদির আন্তর্জাতিক অভিষেক টেস্টে
ডিসেম্বর, ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৬ এশিয়া কাপে অংশগ্রহণের জন্যে পাকিস্তান দলের সদস্য করা হয়। পাকিস্তানের প্রথম খেলায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ৩/২৭ পান। খেলায় তার দল নয় উইকেটে জয় পায়।
সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সালে দুই বছরের চুক্তিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল ঢাকা ডাইনামাইসের পক্ষে খেলেন।এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে ৮/৩৯ পান। অভিষেক খেলায় এটিই যে-কোন পাকিস্তানি বোলারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যানের মর্যাদা লাভ করে।
ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার জন্যে হাসান খানের নেতৃত্বে পাকিস্তান দলের সদস্য করা হয় শাহীন আফ্রিদিকে। ১২ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীতে পরিণত হন তিনি। ঐ প্রতিযোগিতা শেষে শাহীন আফ্রিদিকে দলের উদীয়মান তারকা হিসেবে আইসিসি ঘোষণা করে।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ তারিখে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দাস পক্ষে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। এর পরের মাসে মুলতান সুলতানের বিপক্ষে মাত্র চার রানের বিনিময়ে পাঁচ-উইকেট উইকেট তুলে নেন তিনি। লাহোর খেলায় জয় পায় ও তিনি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কারে ভূষিত হয়।
এপ্রিল, ২০১৮ সালে ফয়সালাবাদে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানে কাপের একদিনের প্রতিযোগিতায় বেলুচিস্তান দলের সদস্যরূপে খেলেন। ২৫ মে, ২০১৮ তারিখে বেলুচিস্তানের পক্ষে লিস্ট এ ক্রিকেটে অভিষেক হয় শাহীন আফ্রিদি’র।
আগস্ট, ২০১৮ সালে (পিসিবি) পাকিস্তান ক্রিকেট বোড কর্তৃক ২০১৮-১৯ মৌসুমের জন্যে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে তেত্রিশজন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের অন্যতম হিসেবে মনোনীত হন। নিজের পারফরম্যান্স এর জন্য নিজেকে ভালো জায়গায় নিয়ে আসে শাহিন শাহ আফ্রিদি। যার ফলে ফল হিসাবে নিজেকে ভালো একজন ক্রিকেটার হিসাবে প্রমাণ করতে পেরেছে।