জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইতিহাস

 জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা দিন দিন অনেকের মধ্যেই বিরাজ করছে। আগে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সিরিজ বলতেই জিম্বাবুয়কে বুঝা যেতো৷ কারণ, এই একটা দেশের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশ ক্রিকেট সিরিজ পেতো৷ হোক ওয়ানডে, টেস্ট কিংবা টি২০। এখনকার আধুনিক যুগে এসে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ ভালো উন্নতি করেছে। ক্রিকেট দুনিয়ায় এখন বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে কে চিনে সবাই।


আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ও জিম্বাবুয়ের দলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। জিম্বাবুয়ে দলের লিজেন্ড খেলোয়ার ও জিম্বাবইয়ে ক্রিকেট দলের ক্রিকেট থেকে প্রাপ্তি।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Zimbabwe national cricket team) জিম্বাবুয়ের  জাতীয় ক্রিকেট  দলের প্রতিনিধিত্বকারী দল। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট  কর্তৃক দলটি পরিচালিত হচ্ছে। পূর্বেকার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউনিয়ন বর্তমানে 'জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট' নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল  বা আইসিসি'র পূর্ণ সদস্যরূপে দলটি টেস্ট, একদিনের আন্তর্জাতিক  ক্রিকেট এবং টি২০ খেলায় অংশগ্রহণ করছে।

১৫ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে জিম্বাবুয়ে দল আইসিসি প্রণীত টেস্ট, ওডিআই ও টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে যথাক্রমে ১০ম, ১১শ ও ১২শ স্থানে অবস্থান করেছিল।

ইতিহাস

আইসিসি'র অন্যান্য পূনর্র  সসদস্যভুক্ত দেশের ন্যায় জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে টেস্ট ক্রিকেটে মর্যাদা প্রাপ্তির লক্ষ্যে যোগ্যতা অর্জন করতে হয়েছে। লক্ষ্যণীয় যে, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট ক্রিকেট খেলার জন্যে যোগ্যতা অর্জনের প্রয়োজন পড়েনি। কেননা, দেশ দু'টো ১৫ মার্চ, ১৮৭৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার  মেলবোর্ন  ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম টেস্ট খেলাটিতে অংশগ্রহণ করেছিল।

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের সংক্ষিপ্ত ঘটনাবহুল মুহুর্তগুলো নিম্নরূপ :-

রোডেশিয়া যুদ্ধকালীন সময়ে এবং ১৯৪৬ সাল থেকে পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকান টুর্নামেন্ট, কারি কাপে অংশ নেয়। স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৮০ সালে দেশটি আন্তজার্তিক  ক্রিকেট খেলায় অংশ নিতে শুরু করে। ২১ জুলাই, ১৯৮১ সালে জিম্বাবুয়ে আইসিসি'র সহযোগী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। ১৯৮৩, ১৯৮৭ এবং 1992 সালের Eorld cup ক্রিকেটের অংশ নেয়।

টেস্ট ক্রিকেট

৯ম টেস্টখেলুড়ে দেশ হিসেবে জিম্বাবুয়ে ১৯৯২ সালে প্রথম টেস্ট খেলে। হারারেতে অনুষ্ঠিত ভারতের বিরুদ্ধে এ খেলাটি ড্র হয়েছিল।

শুরু থেকেই জিম্বাবুয়ে দলটি টেস্ট খেলায় বেশ দূর্বল ছিল। অভিজ্ঞজনদের ধারণা, তাদেরকে অপরিপক্ক অবস্থায় টেস্টের মর্যাদা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু একদিনের ক্রিকেটে খেলায় দলটি বেশ প্রতিযোগিতামূখী ভাব বজায় রাখে; যদিও সর্বদিক দিয়ে শক্তিশালী ছিল না। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে তাদের ফিল্ডিংয়ের দক্ষতা বেশ নজর কেড়েছিল। বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়দের  পদত্যাগজনিত কারণে কয়েকটি টেস্ট সিরিজে বেশ দূর্বল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ২০০৫ সালের শেষ দিকে আইসিসি'র সমর্থনে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড স্বেচ্ছায় টেস্ট ক্রিকেট থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।

আগস্ট, ২০১১ সালে প্রায় ছয় বছর স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে ফিরে এসে টেস্টভূক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবতীর্ণ হয় ও ১৩০ রানের ব্যবধানে পরাজিত করে।


কোচিং কর্মকর্তা

  • জাতীয় কোচিং পরিচালক: জিম্বাবুয়ে  অ্যান্ডি ওয়ালার
  • প্রধান কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকা মাখায়া এনটিনি  (অন্তর্বর্তীকালীন)
  • সহকারী কোচ: জিম্বাবুয়ে ওয়েন জেমস  
  • ব্যাটিং কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যান্স ক্লুজনার  
  • বোলিং কোচ: দক্ষিণ আফ্রিকা মাখায়া এনটিনি  
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url