নেদারল্যান্ডস জাতীয় ক্রিকেট দল

 সম্প্রতি ক্রিকেটের নতুন দেশ হিসাবে উদয় হয় এই দেশটির। দেশটি হলো নেদারল্যান্ডস। বিভিন্ন ফরম্যাটে তারা এখন খেলার যোগ্যতা পেয়েছে। কয়েকটা সিরিজ ও খেলে ফেলেছে। ওডিয়াই, টি২০ তে। তাদের পারফরম্যান্স ভালো।

ইতিহাস

কমপক্ষে ঊনবিংশ শতকে নেদারল্যান্ডসে ক্রিকেট খেলার সূচনা ঘটে। ১৮৬০-এর দশকে রাজকীয় খেলা ক্রিকেট দেশের অন্যতম বৃহৎ ক্রীড়ার মর্যাদা পায়। অ্যাসোসিয়েশন ফুটবলের ন্যায় অন্যান্য কিছু ক্রীড়া জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ডাচ জনগোষ্ঠীর কাছে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আধুনিককালে নেদারল্যান্ডসে প্রায় ছয় হাজার ক্রিকেটার রয়েছে। এরফলে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার দিক থেকে ২৫তম স্থানে আছে। জাতীয় পর্যায়ের প্রথম সংস্থা হিসেবে ক্রিকেট পরিচালনা করছে রয়্যাল ডাচ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থাটি ১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সহযোগী সদস্যের মর্যাদা পায় ১৯৬৬ সালে। এই দলের ক্রিকেট দেশ হিসাবে এখন আলোচিত। তাদের দলের পারফরম্যান্স হিসাবে তারা এগিয়ে যাবে বহুদূর। 

সাফল্যগাঁথা

ডাচ দল আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতার ৮টি প্রতিযোগিতাতেই অংশগ্রহণ করেছে। তন্মধ্যে দলটি কানাডায়  অনুষ্ঠিত ২০০১ সালের আইসিসি ট্রফি জয় করে। এছাড়াও, তারা ১৯৮৬ ও ১৯৯০ সালের আইসিসি ট্রফিতে রানার্স-আপ হয়। ১৯৯৬, ২০০৩, ২০০৭ এবং ২০১১ সালের ক্রিকেট  World cup নেদারল্যান্ডস দল অংশগ্রহণ করে। ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় দলটি ইংরেজদের ঘরোয়া ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি প্রতিযোগিতাসহ এর উত্তরসূরী সিএন্ডজি ট্রফি প্রতিযোগিতায়  অংশগ্রহণ করছে। ২০০৪ সালে দলটি প্রথম-শ্রেনীর ক্রিকেট ইতিহাস আন্তংমিহাদেশীয় আবেরদিনে অনুষ্ঠিত খেলায় স্কটল্যান্ডের  সাথে ড্র করে এবং ডেভেন্টারে অনুষ্ঠিত খেলায় আয়ারল্যান্ডের  বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়। ২০০৫ সালে ডাচ দল সংযুক্ত আরব আমিরাত দল পরাজিত করার মাধ্যমে আইসিসি ট্রফিতে পঞ্চম স্থান পায়। কিছুটা খারাপ ফলাফল করলেও এরফলে দলটি ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের যোগ্যতা অর্জন করে। ১ জানুয়ারি, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের আইসিসি ট্রফি পর্যন্ত তারা একদিনের আন্তর্জাতিক দলের পূর্ণাঙ্গ মর্যাদা লাভ করেছিল।

তারা এই মর্যাদা পেয়ে নিজেদের কে ক্রিকেটে উজার করে দিতেছে। নিজেদের ক্রিকেট কে দিন দিন উন্নতি করে চলেছে।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url