এশিয়ার সেরা ফুটবলার সন

 


সন ভোট পেয়েছেন ২২.৯ শতাংশ এবং রোনালদো পেয়েছেন ১৭.০৬ শতাংশ। ছবি- সংগৃহীত

CR7 and Messi এই যুগের সেরা খেলোয়ার। এদের পরে আর তারকা খেলোয়ার আসবে কি না তা নিয়ে সংশয়। এই দুইজন ফুটবলের জাদুঘর। আধুনিক যুগের ফুটবল এরা জাদুকরের মতো খেলে।

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায়সহ বিভীষিকাময় এক বছর কাটিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে সেই শোককে শক্তিতে পরিণত করে ২০২৩ সালে দূর্দান্তভাবে ফিরে আসেন পর্তুগিজ তারকা। ৫৩ গোল করে গত বছরের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান তিনি। যেখানে পেছনে ফেলেন আর্লিং হালান্ড, কিলিয়ান এমবাপ্পে, হ্যারি কেইনের মত বাঘা বাঘা সব ফুটবলারদের।

এত কিছুর পরও ফিফা বর্ষসেসার শর্ট লিস্টে জায়গা মেলেনি সিআরসেভেনের। এশিয়ার বর্ষসেরার পুরস্কার জিততে পারেননি তিনি। তিন নম্বরে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে আল নাসর তারকাকে। রোনালদোকে পেছনে ফেলে পুরস্কারটি বগলদাবা করেছেন ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের দক্ষিণ কোরিয়ান ফরোয়ার্ড সন হিয়ুং-মিন। সন নিজেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অনেক বড় ভক্ত।


আইডল রোনালদোর মত সনও ৭ নম্বর জার্সি পড়ে জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে মাঠে নামেন। অনেকে রোনালদোর সাথে নাম মিলিয়ে তাকো ‘সনালদো’ ডেকে থাকে। এবার নিজের সেই প্রিয় ফুটবলারকেই পেছনে ফেললেন তিনি। সেরা ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে সন হিয়ুং-মিন মোট ২২.৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় হয়েছেন সনেরই স্বদেশী বায়ার্ন মিউনিখের কোরিয়ান কিম মিন-জেইকে (১৯.৫৪ শতাংশ)। ১৭.০৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন রোনালদো।

জাতীয় দলের পর এবার ক্লাব ফুটবলেও নেতৃত্ব ভার পেয়েছেন সন। সাবেক অধিনায়ক হ্যারি কেইন বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন এই কোরিয়ান ফরোয়ার্ড। আর এর ফলে ক্লাব ইতিহাসে অধিনায়ক হওয়া প্রথম এশিয়ান প্লেয়ারও বনে গেছেন তিনি। তবে এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারে শিরোপার স্বাদ নেয়া হয়নি এই ফরোয়ার্ডের। এই মৌসুমে সেই শিরোপাকেই পাখির চোখ করেছেন সন। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলছেন তিনি।

গেল বছরে ক্লাব আল নাসর এবং জাতীয় দলের হয়ে ৫৩ গোল করার মাধ্যমে বছরের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। সামনের মাসেই ৩৯ বছরে পা দিতে যাওয়া এই পর্তুগিজ তারকার গোল ক্ষুধাও যেন বয়সের সাথে সাথে আরও বেড়েই চলেছে। চলতি বছরেও এই ধারা অব্যাহত রাখার আশা তার। রোবালদোর পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোল করেন হ্যারি কেইন ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। দু’জনেই সমান ৫২ টি করে গোল করেন। বছরের শেষের দিকে চোটে পড়া আর্লিং হালান্ড করেছিলেন ৫০ টি গোল।


Cr7 সব সময়ের জন্য মানুষের মনে গাথা থাকবে। তার ফুটবল জাদু দিয়ে। ফুটবল কারিশমা দিয়ে। তার প্যানাল্টি সুট দিয়ে৷ তার সেলিব্রেশন দিয়ে। রোনালদো দ্যা গ্রেটেস্ট ফুটবলার ইন দ্যা ওয়ালর্ড! 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url